টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার গড়ে দিচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি

...

টেক্সটাইল সেক্টরের বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে টেকনিক্যাল ও ম্যানেজারিয়াল পজিশন এবং বাইং এন্ড মার্চেন্ডাইজিং ও শিক্ষকতায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের দ্রুত অগ্রসরমান গার্মেন্টস্ শিল্পে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ার অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। সম্প্রতি কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইনিঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওপর বাড়তি নজর দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে, যারমধ্যে অন্যতম ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি।

বাংলাদেশে চাকরির বাজারে বর্তমানে যে কয়টি বিষয়ে গ্র্যাজুয়েটদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে তার মধ্যে র্শীষে অবস্থান করছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ’-এর দুই কর্ণধার ও আইএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন ও ভাইস-চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আতিকুর রহমান ইন্টারন্যাশনার। প্রতিষ্ঠাতারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ (প্রতিষ্ঠাতাদের) ১৯টি টেক্সটাইল বিষয়ক ইন্ডাস্ট্রিতে আছে, বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ। এছাড়াও নিজেদের ৩০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে থাকছে ইন্টার্ন এবং চাকরির ব্যবস্থা। বিশ্বমানের টেক্সটাইল শিল্পের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের এ শিল্পও দ্রুত এগিয়ে নিতে অবদান রাখছে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে গ্রেজুয়েশন শেষ করে, স্পিনিং মিল, উইভিং ফ্যাক্টরি, ডাইংপ্রিন্টিং এন্ড ফিনিশিং মিল, গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি, কম্পোজিট মিল, ডেনিম প্রজেক্ট, ওয়াশিং প্ল্যান্ট, বায়িং হাউস, মার্চেন্ডাইজিংসহ বেসরকারি সেক্টরে কাজ করতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি পলিটেকনিক ও কলেজগুলোতেও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ শিক্ষকতার সুযোগ রয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আওয়াল খান বলেন, শিক্ষা জীবন শেষে চাকরির বিষয়টি পরিবারের অপরিহার্য চাওয়া। চাকরির সেক্টর বাড়াতে দরকার সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ। স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ উচ্চ শিক্ষার সুযোগের সঙ্গে সঙ্গে নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সে সুযোগ বেশি।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গুরুত্ব এবং নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনার স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চেয়ারর্পাসন ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল বাছেদ মিয়া বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের টেক্সটাইল সেক্টর বিশ্ব প্রতিযোগিতার সম্মুখীন এবং প্রায় ৮৬ শতাংশের অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। কর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচনে এ সেক্টরের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। সরকারি পর্যায়ে অগ্রাধিকার খাত হিসাবে এ সেক্টরে কারিগরিজ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি তৈরির কার্যক্রম চলছে। কিন্তু শুধুমাত্র সরকারিভাবে বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কখনোই সম্ভব নয়। তাই বেসরকারিভাবেও এ সেক্টরের উন্নয়ন ও প্রতিযোগিতার দরকার। সেই তাগিদে বাংলাদেশের স্বনামধন্য ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ আইএসইউ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উলেখযোগ্য পার্থক্য রয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ এর টেক্সটাইল বিষয়ক ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাস্তব জ্ঞান ও কারিগরি দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে অর্থাৎ ইউনিভার্সিটি ইন্ডাষ্ট্রি লিংকেজ এডুকেশন এর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা বিশ্বচ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ সেক্টরে যোগ্য ও ব্যতিক্রমী, যুগোপযোগী নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে।বর্তমান সময়ে কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে পড়াশোনার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা ও যোগাযোগের দক্ষতা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। আমরা শিক্ষার্থীদের এ দক্ষতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি। এছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারক সই করেছি, যার ফলে শিক্ষার্থীরা ইন্টার্ন ও পরবর্তীতে চাকরির সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্র্ড ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য সহ-শিক্ষা কার্যক্রম উৎসাহিত করছে।আইএসইউ টেক্সটাইল ক্লাব, বিজনেস ক্লাব, আইটি ক্লাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব এবং কালচারাল ক্লাব শিক্ষার্থীদের মেধাকে আরো শানিত করছে।

জানা গেছে, মহাখালীতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়।  বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি অনুষদের অধীনে মোট ৪টি বিভাগ চালু রয়েছে। এরমধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অধীনে রয়েছে ব্যাচেলর অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) ও মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ)। ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীনে রয়েছে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। অধিকন্তু আইএসইউ ইউজিসির নির্দেশিকা অনুসারে আন্তর্জাতিক মানের ওবিই পাঠ্যক্রম অন্যুায়ী; দেশ-বিদেশে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত উচ্চ যোগ্যতাসম্পন্ন ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

জানা যায়, ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের অধীনে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আছে। জানুয়ারি-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর বছরে দুটি সেমিস্টারের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় যারমধ্যে পূর্ণ অনুদান (১০০ শতাংশ) থেকে শুরু করে আংশিক মওকুফসহ শিক্ষার্থীদের মোট ১৪টি ক্যাটেগরিতে স্কলারশিপ, বৃত্তি এবং ওয়েভার দেয়া করা হয়।

পত্রিকায় দেখতে Click Here